নুরুল কবির, বান্দরবান:
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন, গুনীজনের মূল্যায়ন করতে হবে। সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মান করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধ’সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্মরণে সরকার বিভিন্ন স্থাপনা গুনী ব্যক্তিদের নামে করণের উদ্যোগ নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পাহাড়ের এক মাত্র ব্যক্তি ইউকেচিং বীর বিক্রমের নামে বান্দরবান স্টেডিয়ামের নাম করণের পরামর্শ দেন। শুক্রবার সকালে বান্দরবানের অরুণ সারকী টাউন হলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা সভাপতিত্বে অন্যনদের মধ্যে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, বান্দরবান পাবত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী নূরুল আবছার পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশ, সিইয়ং ম্রো, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, তিং তিং ম্যা,বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ প্রমুখ্য উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অরুণ সারকী আন্তজাতিক খেতাব প্রাপ্ত কোনো শিল্পী নয়। কিন্তু বান্দরবানের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রসারে তার ভূমিকা ছিল। তার অবদানের স্মরণে অরুন সারকী টাউন হলের নাম করণ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোডের অর্থায়নে ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অরুন সারর্কি টাউন হলটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় থেকে বম জনগোষ্ঠীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রাইমারী প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট, মারমা স্টুডন্টে কাউন্সিল, রুমা সাঙ্গু কলেজ’সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে ১৫ লাখ টাকার সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সামগ্রীগুলো বিতরণ করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।